এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি সব সময় সবাইকে বলে আসছি— জুয়ার সাইটের লিংক আমাকে বা সংশ্লিষ্টদের পাঠালে তা ব্লক করা হবে। আমি বিটিআরসির সংশ্লিষ্টদের বলেছি, জুয়ার সাইট বা পর্নোগ্রাফির সাইট বা লিংক পেলে ব্লক করে আমার অনুমোদন নিতে। আমি অনুমোদন দিয়ে দেবো। এ ব্যাপারে কোনও ছাড় নেই।’
২০১৯ সালে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সর্বপ্রথম জানান, ২ হাজার ২৩৫টি জুয়ার সাইটের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেগুলো ব্লক করা হবে।
২০১৯ সালে দুই দফায় ১৭৮টি জুয়ার সাইট ব্লক করার তথ্য জানা যায়। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিটিআরসি’র ডিজিটাল নিরাপত্তা সেল ৩৩১টি জুয়ার সাইট বন্ধ করে দেয়।
চলতি বছরের ১১ জুলাই নিউজ পোর্টাল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশনসহ জুয়ার বিজ্ঞাপন দৃশ্যমান হয়— এমন সব ওয়েবসাইট ব্লক করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তথা বিটিআরসিকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে এক হাজার ১৪৭টি জুয়ার সাইট, ২ হাজারের বেশি ফেসবুক লিংক ও চার শতাধিক ইউটিউব লিংক ব্লক করেছে বিটিআরসি।