ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

থাপড়ানো রুটি ঘিওর হাটের ঐতিহ্য

দেশের অন্যতম বড় হাটের একটি মানিকগঞ্জের ঘিওর হাট । সপ্তাহের প্রতি বুধবার বসে এই হাট। তবে আগের সেই রমরমা অবস্থা নেই ঘিওর হাটের। নদী ভাঙন, নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে জৌলুস হারিয়েছে।

ধানহাটা, ভুসিপট্টি, গরুর হাট গমগম করতো হাটবারে। নদীর বছর জুড়েই নদীর ঘাটে বাঁধা থাকতো কয়েকশ’ মহাজনি নৌকা। সারাদেশের সাথে ছিল ব্যবসা বাণিজ্য।

তবে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ছিল পাটের। বর্ষায় নদীতে ভাসমান হাট বসতো। এলাকার মানুষের কৃষিপণ্য কেনাচার কেন্দ্র ছিল এই হাট। সে সবই এখন অতীত।

ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা ভাটা পড়লেও, ঘিওর হাটের থাপড়ানো রুটির কদর কিন্তু একটুও কমেনি। এখনো মিষ্টিপট্টির সারি সারি দোকানে আগের মতই রুটি তৈরি হয়। বিক্রিও হয় দেদার।

ঘিওর হাটের অন্যতম আকর্ষণ এই থাপড়ানো রুটি। রসগোল্লার সিরায় ভিজিয়ে এক টুকরো রুটি মুখে দিন- মনে হবে যেন অমৃত।

আগে কম করে হলেও, ২৫টি রুটির দোকান ছিল। স্থায়ী দোকায় ছাড়াও হাটবারে খোলা জায়গাও রুটি তৈরি হতো। এখন ১০-১২টি দোকানে রুটি তৈরি হয়।

দোকানের সংখ্যা কমলেও থাপড়ানো রুটি চাহিদা আর সুনাম একটুও কমেনি।
একবার খেলে আর মুখ ফেরানো যায় না। তাইতো দূর-দূরান্তের ক্রেতা-বিক্রেতারা বেচাকেনা শেষে একবার হলেও ঢু মারেন হালুই পট্টিতে।

হাটের দিন সকাল থেকেই শুরু হয় থাপড়ানো রুটি তৈরির কর্মযজ্ঞ। কেউ দোকানে বসেই রুটি-মিষ্টি খাচ্ছেন, আবার কেউ পরিবারের সদস্যদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।

হাটবারে দেড় থেকে দুইশ’ কেজি রুটি বিক্রি হয়, সাথে রসগোল্লা, না হয় জিলিপি। তবে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে থাপড়ানো রুটির চাহিদা কিছুটা কম থাকে।

Scroll to Top