ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

নদীর জন্ম ও তাত্ত্বিক ধারণা

নদী (সমার্থক শব্দ – তটিনী, তরঙ্গিনী, সরিৎ ইত্যাদি) সাধারণত মিষ্টি জলের একটি প্রাকৃতিক জলধারা যা ঝরনাধারা, বরফগলিত স্রোতধারা প্রাকৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট নদী পথ হয়ে প্রবাহ শেষে সাগর, মহাসাগর, হ্রদ বা অন্য কোন নদী বা জলাশয়ে পতিত হয় ।

মাঝে মাঝে অন্য কোন জলের উৎসের কাছে পৌঁছানোর আগেই নদী সম্পূর্ণ শুকিয়ে যেতে পারে। নদীকে তার গঠন অনুযায়ী শাখানদী, উপনদী, প্রধান নদী, নদ ইত্যাদি নামে অভিহিত করা যায়।

আবার ভৌগোলিক অঞ্চলভেদে ছোট নদীকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।সাধারণত নদীর নামকরণ করা হয়েছে মেয়েদের নামে। M.Moriswa এর মতে নদী হল খালের মধ‍্য দিয়ে প্রবাহিত জলধারা।

নদীর জন্ম ও তাত্ত্বিক ধারণা

সাধারণত পর্বত, উঁচু ভূমি, পাহাড়ের গিরিখাত থেকে সৃষ্ট ঝরণাধারা, বরফগলিত স্রোত কিংবা প্রাকৃতিক পরিবর্তন থেকে নদীর জন্ম। হাজার হাজার ফুট উঁচু পাহাড় থেকে তীব্র বেগে ধেয়ে আসা জলরাশিতে এক ধরনের প্রচন্ড গতি সঞ্চারিত হয়। ছুটে আসা এই দ্রুত গতিসম্পন্ন জলস্রোত স্থলভাগ অতিক্রম করার সময় নদী নামে পরিচিত হয়।

নদী যখন পাহাড়ি এলাকায় ঢালু পথ বেয়ে প্রবাহিত হয় তখন তার যৌবনাবস্থা। এ সময় নদী ব্যাপক খননকাজ চালায় বা ভূমিক্ষয় করে এবং উৎপত্তিস্থল থেকে নুড়ি, পাথর, বালি, খনিজ, পলি প্রভৃতি স্রোতের ধারায় অতি সহজে সমুদ্রে নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে ধাবিত করে।

নদী এভাবেই আবহমানকাল ধরে পৃথিবীর পর্বত, পাহাড় ও উচু ভূমি ক্ষয় করে চলেছে। তার এ কাজ শেষ হয় তখন, যখন সমস্ত নদী-অববাহিকা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমভূমি বা প্রায় সমভূমি অঞ্চলে পরিণত হয়। উৎস থেকে মোহানা অবধি নদীর এই কাজকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়।

Scroll to Top