মিলি আক্তার। বয়স ৩০হলেও মিলির উচ্চতা মাত্র ২৮ ইঞ্চি, অর্থাৎ দুই ফুটের চাইতে ৪ ইঞ্চি বেশি। অবাক হওয়ার কিছু নেই। তার জন্ম ১৯৯২ সালে। মিলির বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গুলিশাখালী গ্রামে।
মিলির জীবনকাহিনী সত্যিই অন্যরকম। মিলি তখন মা ফরিদা ইয়াসমিনের গর্ভে। সেই অবস্থায়ই বাবা নজরুল ইসলাম নিরুদ্দেশ হয়ে যান। আর ফিরে আসেননি নজরুল ইসলাম। মিলি কোনোদিন তার বাবাকে দেখেনি।
এখানেই গল্পের শেষ নয়। ২ বছরের মিলিকে নানা-নানির কাছে রেখে সৌদি আরব চলে যান মা ফরিদা ইয়াসমিন। ২৭ বছর পর দেশে আসেন মা ফরিদা ইয়াসমিন। বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ের বয়স ঠিকই বেড়েছে, কিন্তু উচ্চতা বাড়েনি। চিকিৎসকরা জানান, হরমোনজনিত কারণে মিলির উচ্চতা বাড়েনি।
মিলির মা সৌদি আরবে থাকার সময় আবার বিয়ে করেন। দু’বছর আগে সেই স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মিলিকে নিয়ে এখন ৫ জনের সংসার।
মিলি স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেন, শোনেন। যখন যা দরকার হয়, মায়ের কাজে মাকে সহযোগিতা করেন। না লেখাপড়া করেনি মিলি, সে সামর্থও নেই।
মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম তারেক সুলতান বলেন, ক্ষুদে মানুষ শুধু মিলি নয়, সকলের জন্যই সরকারের সামাজিক বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট
গণমাধ্যমকর্মী