ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

ভ্রমণ

ভ্রমণ হচ্ছে লোকজনের তুলনামুলকভাবে দূরতম ভৌগোলিক স্থানের মধ্যে গতিবিধি বা চলন, এবং মানুষজন সাধারণত পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, গাড়িতে, ট্রেনে, নৌকায় কিংবা প্লেনে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণকালে সাথে ব্যাগ বা লাগেজ থাকতেও পারে বা নাও থাকতে পারে এবং ভ্রমণটা একমুখী কিংবা রাউন্ড ট্রীপও হতে পারে। ধারাবাহিক গতিবিধির মাঝে একটুখানি অবকাশ যাপনও ভ্রমণের অংশ হয়ে থাকে।ভ্রমণ ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, ধর্মিয় ইত্যাদি স্থানে হয়ে থাকে। ছাত্রছাত্রিদের জন্যে প্রথম দুটি লিখিত জায়গা উচ্চ শিক্ষায় নিশ্চটয় দরকার। মনের শান্তি, শুদ্ধতা, প্রেরণা প্রভৃতির জন্যে ধর্মিয় স্থান।এছাড়াও আমরা নানা ঐতিহাসিক জায়গায় ভ্রমণ করে জ্ঞানের পিপাসা মেটাতে পারি।এতে আমাদের অভিজ্ঞতা আরো বৃদ্ধি পায।প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের জন্য বন বা পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে যেতে পারি।

“ভ্রমণ” শব্দটার উৎস ইতিহাসের কালে প্রায় হারিয়েই গেছে। ভ্রমণ বা ট্রাভেল শব্দটার উৎপত্তি হয়েছে আদি ফরাসি শব্দ travail[১] থেকে। মেরিয়াম ওয়েবস্টার ডিকশনারি অনুসারে যতদূর জানা যায় ভ্রমণ শব্দটার ব্যবহার শুরু হয় চতুর্দশ শতাব্দীর দিকে। সেখানে এটাও বলা আছে যে ভ্রমণ শব্দটা প্রথমে আদি ফরাসি শব্দ travailler (যার মানে পরিশ্রমের সাথে কাজ করা) হয়ে পরবর্তীতে ইংরেজি শব্দ travailen, travelen (যার মানে যন্তণা, শ্রম, সংগ্রাম, ভ্রমণ) এর মধ্য দিয়ে উৎপত্তি লাভ করেছে। ইংরেজিতে এখনও মাঝেমাঝে travail এবং travails শব্দদুটো ব্যবহার করা হয়, যার মানে সংগ্রাম। Simon Winchester তার বই The Best Travelers’ Tales (2004) এ উল্লেখ করেছেন, travail এবং travel দুটো শব্দই আমাদের সামনে আরও প্রাচীন একটা ব্যাপার তুলে ধরে যেটা হলো tripalium( ল্যটিন ভাষায় যার মানে “৩ টি পুরস্কার”) নামক প্রাচীন রোমানদের ব্যবহৃত টর্চার করার যন্ত্র। এটাতে আসলে প্রতিফলিত হয় প্রাচীনকালে ভ্রমণে অনেক কষ্ট এবং প্রতিকূলতা ছিলো, সাথে travailler শব্দটার কষ্টকর জ্ঞাত্যার্থও প্রকাশ করে। বর্তমানকালে ভ্রমণ করাটা খুব সহজ হতে পারে আবার নাও হতে পারে, সেটা নির্ভর করতেছে তোমার গন্তব্যস্থলের উপর (যেমন, মাউণ্ট এভারেস্ট, আমাজন রেইনফরেস্ট) এবং কীভাবে তুমি পরিকল্পনা করছো সেখানে যাওয়ার (বাস,ট্রেন,জাহাজ ইত্যাদি) সেটার উপর। ভ্রমণলেখক Michael Kasum লিখেছেন, “স্বাভাবিক ট্যুরিস্ট বা ভ্রমণকারী আর সত্যিকারের পুরো পৃথিবী চষে বেড়ানো ট্রাভেলার বা ভ্রমণকারীর মধ্যে একটা বড়সড় পার্থক্য আছে।” তথাপি ভ্রমণের সামাজিক এবং সংস্কৃতিগত পার্থক্য এবং বৈশিষ্ট্য যুক্তিপূর্ণভাবে একাডেমিক কাজ হিসেবে নোট করা হলো।

Scroll to Top