ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বই রিভিউ যেভাবে লিখবো

এটা কাউকে শেখানোর জন্য লিখি নি। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ধারণা শেয়ার করেছি।

বই রিভিউ লেখার জন্য প্রকৃতপক্ষে কোন ব্যাকরণ নেই। তবে কিছু নিয়ম মেনে লিখলে রিভিউটা সকলের জন্য পড়া ও বোঝা সহজ হয় এবং সাজানো- গোছানো হয়।

শুরুতে বইয়ের একটা ছবি দিতে পারেন। এরপর শুরু করতে পারেন আপনার পছন্দমত উক্তি বা বই সম্পর্কে কোন তথ্য দিয়ে।এটা ঠিক কোন অনুষ্ঠান শুরু করার আগে সম্ভাষণ বা বইয়ের ভুমিকার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। তারপর প্রথমে বইয়ের ও লেখকের নাম দিতে হবে

বইয়ের নামঃ

লেখকের নামঃ

এরপর সেটি কোন ঘরানার(Genre) তা উল্লেখ করা জরুরি। কারণ এর মাধ্যমে পাঠকরা বুঝতে পারে তারা যেই লেখকের বই সম্পর্কে রিভিউ পড়তে যাচ্ছেন সেটি রহস্য, নাকি রোম্যান্টিক নাকি ফ্যান্টাসি নাকি শিশুতোষ নাকি কথাসাহিত্য । তার মানে বইয়ের ও লেখকের নামের পর আসবে,

ঘরানারঃ

এরপর যেটা দেওয়া যায় সেটি হল রেটিং। রেটিং এর নাম্বার দেখে পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারবেন বইটা কতটা জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে পাঠকদের মনে বই সম্পর্কে সুন্দরভাবে আগ্রহ তৈরি করা সম্ভব। বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে বই রেটিং এর কোন ওয়েবসাইট নেই। তবে ইংরেজি বইয়ের গুডরিডস্‌ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট রয়েছে। তাই ইংরেজি বইয়ের ক্ষেত্রে সেখান থেকে রেটিং লিঙ্ক সহ দেওয়া যেতে পারে। বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে নিজস্ব রেটিং ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নাই। ইংরেজি বইয়ের ক্ষেত্রেও নিজস্ব রেটিং দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে “ব্যক্তিগত রেটিং” এই কথাটা উল্লেখ করা উচিত। তাহলে আমরা পরবর্তী পয়েন্ট পেলাম,

রেটিং/ ব্যক্তিগত রেটিং:

এরপর আমরা দিব রিভিউ। রিভিউতে যদি পুরাপুরি ফ্লাপের লেখা হুবহু তুলে দেই তবে সেটাকে বলা হবে প্রিভিউ। তাই রিভিউ না প্রিভিউ তা এখানে শুরুতেই বলে দেওয়া ভাল। রিভিউ লেখার সময় সম্পূর্ণ কাহিনী তুলে দেওয়া উচিৎ না। এতে পাঠকের ঐ বই সম্পর্কে আগ্রহ কমে যাবে। যদি দিতেই হয় তবে সবার উপরে তা লিখে দেবেন। যেমন, spoiler alart. রিভিউ লেখার সময় মাথায় রাখবেন যে আপনি পুরা কাহিনী লিখছেন না, লিখছেন কাহিনীর সারমর্ম। তাই তা যত ছোট আর তথ্যসমৃদ্ধ হয় তা ততই পাঠকের কাছে ভাল লাগবে। লিখতে হবে যথেষ্ট রহস্যময়টা নিয়ে যাতে পাঠকদের মনে বইটা সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। যদি রিভিউ পড়ে পাঠকের মনে আগ্রহই তৈরি না হয় তবে সেই বুঝতে হবে রিভিউ আসলে রিভিউই হয় নি।

রিভিউয়ের পরে বই সম্পর্কে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত উদ্ধৃতি দেওয়া যেতে পারে। দিতে পারলে সেটা প্লাস পয়েন্ট কিন্তু না দিতে পারলেও বিশেষ কোন ক্ষতি নেই।

পত্রিকার উদ্ধৃতিঃ

এরপর দিতে হবে লেখক পরিচিতি। লেখকের জন্ম-মৃত্যু, পড়াশুনা, পেশা, আর কি কি বই লিখেছেন, কতটা জনপ্রিয়, এখন কি করছেন, সামনে আর কি লেখা আসবে ইত্যাদি তথ্য দেওয়া যেতে পারে।

লেখক পরিচিতিঃ

বইটি যদি অনূদিত হয় তবে লেখকের পরিচিতির পর অনুবাদকের পরিচিতি দেওয়া যেতে পারে।

অনুবাদকের পরিচিতিঃ

এরপর বইটি সম্পর্কে একনজরে কিছু তথ্য দিতে হবে।

ক্যাটাগরিঃ বইটি অনুবাদকৃত নাকি মূল তা লিখতে হবে।

বইয়ের নামঃ

লেখকের নামঃ

অনুবাদকের নামঃ (অনুবাদিত হলে)

প্রকাশনীঃ কোন প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে।

পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ পৃষ্ঠা সংখ্যা উল্লেখ করলে পাঠক বইয়ের আকার আর ব্যাপ্তি সম্পর্কে ধারনা পাবে।

মূল্যঃ এটা উল্লেখ করা জরুরি। কেননা এর মাধ্যমে পাঠক বুঝতে পারবেন বইটি তার বাজেটের মধ্যে কিনা বা কত টাকা লাগবে তা জানলে কিনতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারবেন।

প্রাপ্তিস্থানঃ অনলাইন প্রাপ্তিস্থানের লিঙ্ক দেওয়া যেতে পারে আর সম্ভাব্য প্রাপ্তিস্থানের ঠিকানা দিলে পাঠকদের ভোগান্তি কম হয়।

উইকিপিডিয়া লিঙ্কঃ এরপর বই সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় কোন নিবন্ধ থাকলে সেটার লিঙ্ক দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

মূল বইয়ের ওয়েবসাইটঃ মূল বইয়ের কোন ওয়েবসাইট থাকলে সেটার লিঙ্ক উল্লেখ করা যেতে পারে।

লেখকের ওয়েবসাইটঃ লেখকের ওয়েবসাইট আর সোশ্যাল সাইটের লিঙ্ক দেওয়া যেতে পারে।

সফটকপির লিঙ্কঃ বইয়ের কোন সফট কপির লিঙ্ক পাওয়া গেলে দিতে পারেন।

ব্যক্তিগত মতামতঃ সবশেষে বই সম্পর্কে আপনার দিয়ে শেষ করতে পারেন।

Scroll to Top