দীর্ঘ অনুশীলন আর পরিশ্রমে কতকিছুই না আয়ত্ব করা যায়। সেকথাই প্রমাণ করেছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরডাকাতিয়া গ্রামের প্রদীপ রায়।
কঠোর সাধনায় প্রদীপ রায় নানা শারীরিক কসরত আয়ত্ব করেছেন। শিক্ষকতা করেন, তবে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয়। প্রাইভেট পড়ান।
এক সময় বিভিন্ন ধর্মের বই এবং সাধকদের জীবনী পড়তেন প্রদীপ রায়। সেখান থেকেই তার জীবন দর্শন বদলে যায়।
সাধনায় কী না হয়! কঠোর অনুশীলন শুরু করেন। একে একে আয়ত্ব করেন নানা শারীরিক কসরত।
গাছের ডালে পা বেঁধে ঝুলে থেকে নাক দিয়ে বাঁশি বাজান। বাঁশি বাজান পানিতে ভেসে থেকে।
চা পান করেন নাক দিয়ে।
শরীরের ওপর তিন চারজন মানুষ নিয়ে পাকা রাস্তায় শুয়ে থাকতে পারেন ঘন্টার পর ঘন্টা।
কোন কায়িক পরিশ্রমই তার কাছে কষ্ট মনে হয় না। বিভিন্ন ধর্মীয় এবং বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে তার।
মানুষকে আনন্দ দেয়াই প্রদীপ রায়ের আনন্দ। এজন্য তিনি কোন অর্থ নেন না।
এসএসসি পাশের পর থেকেই এলাকার শিক্ষার্থীদের পড়ানো শুরু করেন প্রদীপ। তবে বিনামুল্যে।
চরডাকাতিয়া গ্রামের সুখময় রায়ের তিন ছেলের সবার ছোট প্রদীপ। অন্য দুই ভাই কৃষক।
মানুষকে আনন্দ দেয়ার ব্রত নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রদীপ রায়।