বাগেরহাটের নারী উদ্যোক্তা রোজি আহমেদ একজন লড়াকু নারী। যিনি নিজের চেষ্টায় স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেক নারীর চোখে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এখন তিনি এলাকার অনেকের প্রেরণা।
রোজি আহমেদ নিজের বাড়িতেই নারকেলের ছোবড়া দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করেন।
তার তৈরি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাখির বাসা, মালচিং ম্যাট, কোকো পোল, বাসকেট, ল্যাম্প শেড।
সব মিলিয়ে ২০ধরনের পণ্য উৎপাদন তার কারখানায়। তার এসব পণ্য এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও বিক্রি হচ্ছে। এখন তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ৪০ জনের মত নারী শ্রমিক।
রোজি আহমেদের বাড়ি বাগেরহাট পৌর শহরে বাসাবাটি এলাকায়। তখন করোনাকাল। চারদিকে হতাশা, আতঙ্ক। সব কিছু বন্ধ। দমবন্ধ করা একটা অবস্থা।
ঠিক এরকম একটা সময়েই রোজি আহমেদ বাড়িতে নারকেল ছোবড়া দিয়ে পণ্য তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। নাম দেন অর্গানিক প্রোডাক্ট।
প্রথমে আশেপাশের কয়েকজন নারীকে নিয়ে কাজ শুরু করেন। তৈরি হয় পাখির বাসা, মালচিং ম্যাট, কোকো পোল, বাসকেট, ল্যাম্প শেডসহ প্রায় ২০ধরনের বাহারি সব পণ্য।
চাহিদাও বাড়ে, বিক্রিও বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ হয়। ব্যবসার পরিধি বাড়ে। এমনকি বিদেশেও রপ্তানির চেষ্টা করেন রোজি আহমেদ।
সাড়াও মেলে।
এখন তার প্রতিষ্ঠানে ৪০ জন নারীকর্মী কাজ করেন। কর্মীদের ভাল মজুরি দেন রোজি আহমেদ। একেকজন কর্মী নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে সংসারেও খরচ দেন। এমনকি স্বাবলম্বীও হয়েছেন কয়েকজন।
তার এই সফলতা আত্মবিশ্বাসী করেছে রোজি আহমেদকে। নারকেলের আঁশ দিয়ে নতুন নতুন পণ্য তৈরির পরিকল্পনা করছেন তিনি।
রোজি আহমেদের এমন উদ্যোগ নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। উৎপাদন হচ্ছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এসব পণ্য যাচ্ছে বহিঃবিশ্বের বিভিন্ন দেশে।