দেশের সব অঞ্চলেই রয়েছে বিখ্যাত সব হাট। একেক হাটের খ্যাতি একেক কারণে। তবে, রেডিমেড ঘরের হাট বোধ হয় দেশে একটিই।
ঢাকার খুব কাছেই, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে গেলেই কেনা যাবে পছন্দের ডিজাইনের ঘর।
মুন্সীগঞ্জ, মানে বিক্রমপুরের টিনের ঘরের ঐতিহ্য প্রাচীন। গ্রামের সবখানেই চোখে পড়বে কারুকাজ করা টিনের ঘর।
লৌহজংয়ের কাঠপট্টি এলাকা। মাঠজুড়ে সাজানো রেয়েছে কাঠ ও টিনের ঘর। একটি দু’টি নয়- অসংখ্য। ২ থেকে ৩ কিলোমিটার জুড়ে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে রেডিমেড ঘর।
একদিকে যেমন তৈরি হচ্ছে নতুন ঘর, তেমনি বিক্রিও হচ্ছে প্রতিদিন।
মুন্সিগঞ্জের ঘর তৈরির কারিগরদের সুনাম দেশজুড়ে। বাহারি ডিজাইনের ঘর তৈরিতে তাদের জুড়ি নেই।
একথার সত্যতা মেলে জেলার যেকোনো গ্রামে গেলেই। হাটেও রয়েছে সুদৃশ্য সব ঘর। এভাবে ঘরের এ ব্যবসা চলছে বছরের পর বছর ধরে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা এসে পছন্দ অনুযায়ী ঘর কিনে নিয়ে যান। প্রবাসী বাঙালিদের কাছে রেডিমেড ঘরের চাহিদা বেশি। কোন ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই পেয়ে যান ঘর।
অনেকে আবার পছন্দের ডিজাইন অনুযায়ী অর্ডার দিয়ে তৈরি করান ঘর। ডিজাইন অনলাইনেই থাকে। অনলাইনে বিক্রিও হয়।
মুন্সিগঞ্জের এই ঘরের হাটে প্রতিমাসে বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০টি ঘর। দোচালা আটচালা, ষোল চালার বাহারি ডিজাইনের একেকটি ঘর বিক্রি হয় ২ লাখ থেকে ৩৫-৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত। সে হিসেবে বছরে অর্ধশত কোটি টাকা দাঁড়ায় বেচাবিক্রি।
সারি সারি সাজানো ঘর দূর থেকেই দেখা যায়। কাছে গেলে মনে হয় একেকটা যেন রাজপ্রাসাদ। ঘরের আকার নানা রকম। একতলা, দুই তলা এমনকি তিন তলা।
নব্বইয়ের দশকে ভয়াবহ নদী ভাঙনের সময় রেডিমেড ঘর তৈরি শুরু হয়। এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতারা আসেন।
লৌহজংয়ের কাঠপট্টি ছাড়াও মুন্সিগঞ্জের আরও কিছু এলাকায় রয়েছে রেডিমেড ঘরের হাট।
শিহাব আহমেদ, টিম রুটস, মুন্সিগঞ্জ