ভাবা যায়! ২০ থেকে ২৫ জনে মিলে পিঁয়াজো বানিয়েও সামাল দিতে পারছে না। কারণ এর স্বাদ।
মাসুদের সুস্বাদু এই পিঁয়াজু খেতে চাইলে যেতে হবে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। বাজারে ঢোকার ঠিক আগে, ফুটপাতে চোখে পড়বে মানুষের ভিড়, আর সেই ভিড়ের পিছনেই মাসুদের পিঁয়াজোর দোকান।
ভিড় ঠেলে সামনে গিয়ে এক ঠোঙ্গা গরম গরম পিঁয়াজো নিয়ে মুখে দিন। মনে হবে, এত ধকলের পর আসাটা বিফলে যায়নি।
এলাকার মানুষতো বটেই, দূর দূরান্ত থেকেও আসেন অনেকে। তারা গরম গরম খেয়েও যান, আবার নিতেও ভোলেন না।
পিঁয়াজো বিক্রি করেই ভাগ্য ফিরিয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলার বরইতলি এলাকার মাসুদ খান।
ভাবা যায়? এখন তার দোকানে ২৫ জন কর্মচারী!
৩০ বছর আগের কথা। বাবা আব্দুর রহমান কালিয়াকৈর বাজারের মোড়ে ফুটপাতে পিঁয়াজো বিক্রি শুরু করেন। পড়ালেখার পাশাপাশি দোকানে সময় দিতেন মাসুদ। বাবা মারা গেলে দোকানের হাল ধরেন ।
ভাগ্য ফিরেছে তার, দোকানের আয় থেকে ছোট বোনদের বিয়ে দিয়েছেন। নিজেও হয়েছেন স্বাবলম্বী।
এখন প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার পিঁয়াজো বিক্রি হয়। শুক্রবার বিক্রি ছাড়িয়ে যায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা।
কি এমন যাদু আছে মাসুদ খানের পিঁয়াজো তৈরিতে? কোনো কৌশল? কারিগররা জানান মসলাটাই আসল।
পিঁয়াজোর পাশাপাশি বেগুনি, ছোলা বুট, সুস্বাদু ১২ ভাজাও বিক্রি হয়। তবে সব ছাপিয়ে মাসুদের পিঁয়াজুর স্বাদই আলাদা। মজাই মজা।