অনেকে নাম শুনেই নাক সিটকান। অনেকের আবার খুবই পছন্দ। তবে, ভোজন রসিকদের অনেকেরই খাবার তালিকার শীর্ষে শুটকি। অঞ্চলভেদে এর চাহিদা বেশি।
আমরা কি জানি কীভাবে তৈরি হয় এই শুটকি? চলুন পিরোজপুরের শুটকি পল্লীতে।
নদ-নদী আর সমুদ্রের হাতছানিও আছে পিরোজপুরে।
পারেরহাটের বাদুরায় রয়েছে দেশের অন্যতম মাছের আড়ত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। শত বছরেরও বেশি আগে থেকে এখানে মাছের ব্যবসা। প্রতিদিন নদী ও সমুদ্রের মাছ আসে পারের হাটে।
মাছের যোগান থাকায় কাছাকাছিই গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি শুটকি পল্লী। খুব একটা সহজ নয় শুটকি তৈরি। ধাপে ধাপে চলে কাজ। খাটতে হয় দিনরাত ।
আড়ত বা জেলেদের কাছ থেকে মাছ এনে সেগুলো কেটে বেছে পরিস্কার করা হয়।
তারপর শুকানো হয় মাচানে। বেশ পরিশ্রমের কাজ।
ফ্যাপসা, লইট্টা, ছুরি, মর্মা, চিতল, মলা, ঢেলাসহ প্রায় ৪০ রকম মাছের শুটকি করা হয় এখানে। শুটকি তৈরির পর বিক্রি হয় চট্টগ্রামের মহাজনদের কাছে।
দিনদিন চাহিদা বাড়ছে শুটকির। আশার বিষয়, পিরোজপুরের শুটকি পল্লীতে কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না।
বছর পাঁচেক আগে ১টি সেড থেকে যাত্রা শুরু, এখন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টিতে। আর প্রতি বছর এ জেলায় উৎপাদিত হয় প্রায় লক্ষ কেজি শুটকি ।