ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

চৈত্র সংক্রান্তি : বসন্ত বিদায়, গ্রীষ্মের সূচনা

চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলা বছরের শেষ দিন। বাংলা এবং বাঙালির জীবনে চৈত্র সংক্রান্তির তাৎপর্যই আলাদা। এই দিনটি বসন্তের বিদায় ও গ্রীষ্মের সূচনা হয়। গ্রীষ্ম মানে রুখা-শুখা, গ্রাম-বাংলার বুক থেকে যেন মাটির রস এবং জীবনের রস শুষে নিতে চায় প্রকৃতি। এই রুখ-শুখা প্রকৃতির আগমন নতুন করে এবং নতুন রূপে কিছু পাওয়ার জন্যই চৈত্র সংক্রান্তির অবতারণা। চৈত্র সংক্রান্তির কাহিনির মধ্যে দিয়ে সামনে আসে বাংলার সমাজ জীবনের চালচিত্র, জনজীবন ও সংস্কৃতি। হিন্দু প্রধান উৎসব হলেও বাংলার মুসলিম সমাজে তা সমানভাবে সমাদৃত। সমান মূল্য, তাৎপর্য এবং ঐতিহ্য বহন করে সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে।
প্রতিটি বাংলা মাসের শেষ দিনকে বলা হয় সংক্রান্তির দিন। একসময় বাংলায় প্রতিটি ঋতুরই সংক্রান্তির দিন উৎসবের আমেজে পালন করা হতো। বলা হতো বাঙালির বার মাসে তোরো পার্বণ। কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে চিরায়ত বাঙালীর বহু উৎসব। তবে আজও আগলে রেখেছে দুটি সংক্রান্তি এবং নববর্ষ উৎসব। দুটি সংক্রান্তির একটি চৈত্র সংক্রান্তি, অপরটি পৌষ সংক্রান্তি।
পৌরাণিক মতে, সাতাশটি নক্ষত্রের নামে সুন্দরী কন্যাদের নামকরণ করেছিলেন দক্ষরাজ। তাঁর সাত মেয়ের বিয়ে হয় চন্দ্রদেবের সঙ্গে। সেই সাতজনের একজন চিত্রা। তার নাম অনুসারে চিত্রা নক্ষত্র এবং চিত্রা নক্ষত্রের নাম থেকে চৈত্র মাসের নামকরণ করা হয়। চৈত্র মাসের শেষ দিন বাঙালিরা চৈত্র সংক্রান্তি হিসেবে পালন করেন। শাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস ইত্যাদি ক্রিয়াকর্মকে পুণ্য মনে করা হয়। দক্ষরাজের আরেক কন্যার নাম বিশাখা। এক মাস ব্যবধানে জন্ম চিত্রা ও বিশাখার। তাই পরের মাসের নাম রাখা হয় বৈশাখ।
এক অর্থে সংক্রান্তি ধারণাটি এমন যে কালের আবর্তে অসীমের মধ্যে সাঁতরে, সূর্য এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে (মীন রাশিতে প্রবেশ করে) গমন করে। ছুটে চলে সময়, দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর অবিরাম চলে ক্রান্তির সঞ্চারে। অর্থাৎ এক ক্রান্তি বা প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত বা ক্রান্তিতে যায়। এ দিনকে সূর্য সংক্রান্তিও বলা হয়।
চৈত্রের শেষ, বৈশাখের শুরু; চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ। বাঙালি সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব। তবে দুই উৎসবের মাঝে চৈত্র সংক্রান্তি ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে বাঙালি কিংবা বাংলার মানুষ পালন করে। কখনো ধর্মীয় বিশ্বাস, কখনোরা আবহমান বাংলার ঐতিহ্য আর লোক সংস্কৃতির মেলবন্ধন এই দিনটি ঘিরে।
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা পঞ্জিকায় চৈত্র সংক্রান্তি পবিত্র এবং উৎসবমুখর দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির একটি আবেগ। বাংলা ও বাঙালির চিরায়ত সেই চৈত্র সংক্রান্তির দিনে যেসব উৎসব পালন করা হয় এর বর্ণনা:
শাক কুড়ানো
বাঙালী কৃষক নারীরা চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘরের পাশে কিংবা মাঠের আনাচে-কানাচে শাক কুড়াতে বের হয়। নিয়ম আছে, অনাবাদী জায়গা থেকে চৌদ্দ রকম শাক কুড়াতে হবে। অনাবাদী বলতে- রাস্তার ধারে, ক্ষেতের আলে, চকে আপনজালায় শাক তুলতে হয়।
শাকান্ন
চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শাকান্ন পালিত হতো। সকালে কুড়ানো শাক দিয়ে সেদিন দুপুরের আহার হতো। এদিন বাড়িতে মাছ-মাংস রান্না হতো না। এখনও অনেক এলাকায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শাকান্ন উৎসব পালিত হয়।
চৈত্র সংক্রান্তির শরবত
চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গমের ছাতু, দই ও পাকা বেলের বিশেষ শরবত তৈরী করা হতো। এই শরবতেই প্রাণ জুড়িয়ে নিতো সংক্রান্তির উৎসবে যোগ দেওয়া সবাই। গ্রামের হাটে কোনো কোনো দোকানে ক্রেতাদের এই শরবত দিয়ে আপ্যায়ন করতেন বিক্রেতারা।
তালতলার শিরনি
আগে চৈত্র সংক্রান্তিতে গ্রামের মানুষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তুলে কিনতেন চাল, গুঁড়। কোনো বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হতো দুধ। সংগৃহীত দুধ, চাল, গুঁড় গাঁয়ের সবচেয়ে উঁচু গাছের নিচে নিয়ে হাঁড়িতে চড়িয়ে রান্না করা হতো শিরনি। আর এই শিরনি সেই গাছের নীচে বসেই একসাথে খেতো গাঁয়ের মানুষ। তালগাছ উঁচু হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই তালগাছের নিচে শিরনি রান্না হতো বলে জনশ্রুতি আছে সেই খাবারের নাম ছিল তালতলার শিরনি।
লোকজ নামাজ
চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গাঁয়ের মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকেরা গ্রামের খোলা মাঠে কিংবা উন্মুক্ত প্রান্তরে জামাতের সহিত নামাজ আদায় করতেন। এই নামাজের পর হতো বিশেষ মোনাজাতে খরা থেকে সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে নিষ্কৃতি লাভ এবং আসন্ন নতুন বছর যেন শুভ হয় সেই প্রার্থনা করা হতো।
চড়ক পূজা
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চৈত্র সংক্রান্তি ও এর আগের কয়েকদিন মিলে পালন করে চড়ক পূজা। সন্তান প্রাপ্তি, দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ ও মনের বাসনা পূরণের আশায় এই পূজা করা হয়। পূজার কয়েকদিন আগে থেকেই ব্রত এবং সংযম পালন করা হয়। এরপর একজনকে হনুমানের মতো লম্বা লেজ এবং মাথায় লালরঙের ফুল দিয়ে সাজানো হয়। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত চড়ক পূজা। প্রথমভাগকে বলা হয় গিরি সন্ন্যাস, দ্বিতীয়ভাগে বাবর সন্ন্যাস, তৃতীয়ভাগে নীল পূজা, চতুর্থভাগে হাজরা পূজা ও দেবতার ভর। শেষভাগে চড়কের দিন সন্ন্যাসীরা বিশেষ ফল, ফুল নিয়ে বাদ্য সহকারে নানা ভঙ্গিমায় শিবপ্রণাম করে। ভক্তি প্রদর্শনের জন্য ধারালো বঁটি, গাছের কাঁটার ওপর ঝাঁপ দিয়ে মাথা নিচে রেখে ঝুলে থাকেন। এরপর বাণ সন্ন্যাস, বেত্র সন্ন্যাস ও বড়শি সন্ন্যাস পালন করে এই পূজা শেষ হয়। একসময় বাংলার প্রায় সকল অঞ্চলে হতো চড়ক পূজা। বর্তমানে ধামরাই, মাগুড়া, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকায় চড়ক পূজা হয়।
নীল পূজা, নীল উৎসব
চড়ক পূজার আগের দিনই পালিত হতো নীলপূজা। এটি ছিল চড়ক পূজার অন্যতম অনুষঙ্গ। যদিও কালের বিবর্তনে পুরো চড়ক পূজার বদলে একাংশ নীল পূজাই পালিত হয়। নীল পূজার জন্য নীলসন্ন্যাসীরা ও শিব-দুর্গার সঙেরা পূজার সময়ে নীলকে সুসজ্জিত করে গীতিবাদ্য সহযোগে বাড়ি বাড়ি ঘোরান এবং ভিক্ষা সংগ্রহ করেন। নীলের গানকে বলা হয় অষ্টক গান। ঐদিন সন্ধ্যাবেলায় সন্তানবতী হিন্দু রমণীরা সন্তানের কল্যাণার্থে প্রদীপ জ্বালিয়ে শিবপূজা করে সারাদিনের উপবাস ভঙ্গ করেন। নীল পূজার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নীল নাচ এবং শিবের গাজন।
শিবের গাজন
কেবল চৈত্র সংক্রান্তিতেই শিবের গাজন পালিত হয়। শিবের গাজনের মধ্য দিয়েই শেষ হয় চড়ক পূজা। চৈত্র সংক্রান্তি ছাড়া বছরের অন্য সময় পালিত হওয়া শিবের গাজনকে বলা হয় হুজুগে গাজন।
গম্ভীরা পূজা
চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে উত্তরাঞ্চলের অনেক স্থানে, বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে গম্ভীরাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে। দিনাজপুরের বিরামপুরে তিনশ’ বছরের বেশি সময় ধরে চৈত্রসংক্রান্তির মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এতে বাঁশ, বেত, কাঠ, মাটি ও ধাতুর তৈরি বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র ও খেলনা, বিভিন্ন রকমের ফল-ফলাদি ও মিষ্টি-মিষ্টান্ন ক্রয়-বিক্রয় হয়। এছাড়া যাত্রা, সার্কাস, বায়োস্কোপ, পুতুলনাচ, ঘুড়ি ওড়ানোসহ বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকে।
খেজুর ভাঙ্গা উৎসব
চৈত্র সংক্রান্তির দিনে পালিত হয় খেজুরভাঙ্গা উৎসব। এই উৎসবে সন্ন্যাসীরা মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিব-গৌরী নিত্যগীতি সহকারে মাগন করেন। পূজার লগ্নে সারাদিন উপবাস পালন করে ভক্তরা। এ দিন নারীরা একটি নির্দিষ্ট খেজুরগাছের গোড়ায় দুধ এবং ডাবের জল ঢেলে পূজা করেন। পূজা শেষে সন্ন্যাসী দলনেতা গামছা গায়ে চড়িয়ে খেজুরগাছকে প্রণাম করে খালি গায়ে গাছে উঠেন। এরপর সন্ন্যাসী দলের বাকিরা কাঁটাযুক্ত খেজুর পাতার উপরে দাঁড়িয়ে নাচে। গাছে উঠা সন্ন্যাসী দলনেতা খেজুর ভেঙে ভক্তদের বিলায়। সেই খেজুর খেয়ে উপোস ভঙ্গ করেন ভক্তরা।
চৈত্র সংক্রান্তি অবলম্বনে হালখাতার জন্ম
জমিদারির খাজনার হিসাব-নিকেশ হতো চৈত্র সংক্রান্তির দিনে। কে কত খাজনা জমা দিলো আর কার কাছে কত বাকি রয়েছে তা চৈত্র সংক্রান্তির দিনে চূড়ান্ত হতো। বৈশাখের প্রথম দিনে, বাংলা নববর্ষে নতুন খাতায় সেই হিসাব তোলা হত। এই প্রথা হালখাতা নামে পরিচিত। জমিদারি প্রথা বিলীন হলেও পরবর্তীকালে হালখাতার চল ব্যবসায়ীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। ক্রেতাদের হিসাব-নিকেশ নতুন খাতায় তুলে রাখতে শুরু করেন নববর্ষের দিনে। এর ফলশ্রুতিতেই হালখাতা উৎসব ব্যাপকতা লাভ করে।
চৈত্র সংক্রান্তি ঘিরে চাকমাদের উৎসব ‘বিজু’
চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের প্রধান উৎসব বিজু। এটি পালিত হয় চৈত্র সংক্রান্তির দিনে। এর আগের দিন পালিত হয় ফুলবিজু। ওই দিন চাকমা মেয়েরা পাহাড়ে যায় ফুল সংগ্রহ করতে। সেই ফুল তিন ভাগ করে এক ভাগ দিয়ে বুদ্ধদেবকে পূজা করা হয়। এক ভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয় এবং আরেকভাগ দিয়ে ঘর সাজানো হয়। চৈত্র সংক্রান্তির দিন মূলবিজু। সকালে বুদ্ধদেবের মূর্তিকে স্নান করানো হয়। ছেলে-মেয়েরা তাঁদের বৃদ্ধ দাদু-দিদিমাকে নদী বা কাছের জলাশয় থেকে জল বয়ে এনে স্নান করিয়ে আশীর্বাদ নেয়।
চাকমাদের পাজন
চৈত্র সংক্রান্তিতে চাকমাদের ঘরে ঘরে বিভিন্ন সব্জির সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় নানা সবজির মিশালি এক তরকারি। এটি পাজন নামে পরিচিত। এই দিন বাড়িতে আগত অতিথিদের পাজন দিয়ে আপ্যায়ণ করেন চাকমারা। তাদের ধারণা বছর শেষের দিনে সব ধরনের সবজি দিয়ে তরকারি খেলে মঙ্গল। এতে নতুন বছরে শুভ সূচনা হয়। এই দিনে চাকমাদের মধ্যে বিবাহিতরা শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এটাও তাদের প্রথার অংশ। অনেক চাকমা আবার বাড়ি মেরামতি করে, জুম চাষের প্রস্তুতি নেয়। নববর্ষের দিন চাকমারা গজ্যা-পজ্যা বা গড়িয়ে পড়ার দিন হিসেবে পালন করে।
বৈসু উৎসব
চৈত্র মাসের শেষ দু’দিন ও নববর্ষের প্রথম দিন ত্রিপুরা সম্প্রদায় পালন করে তাঁদের প্রধান উৎসব বৈসু। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনকে বলে ‘হারি বৈসু’ ও চৈত্র সংক্রান্তির দিন পালন করে ‘বিসুমা’। হারি বৈসুর দিনে পাহাড় থেকে ফুল এনে ঘর সাজায় নারীরা। আর বিসুমা বা সংক্রান্তির দিন পালন করে খাবার উৎসব। নানা ফলমূল ছাড়াও, নানা পিঠা ও সুস্বাদু পাজন তৈরি করে ত্রিপুরারা। নববর্ষের দিন তারা পালন করে বিসিকতাল। এদিন তারা প্রার্থনা এবং পানি খেলা উৎসব পালন করে।
ত্রিপুরায় চৈত্র সংক্রান্তি
ত্রিপুরায় পালিত হয় বৈসুক উৎসব। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন একে হারি বৈসুক বলে। চৈত্র সংক্রান্তির দিনের উৎসবকে বলা হয় বৈসুকমা। এই সময় ছেলে-মেয়েরা ফুল সংগ্রহ করে ঘর সাজায়। মেয়েরা ভোরবেলায় গৃহপালিত পশু খোয়াড় থেকে ছেড়ে দেয়। ঝুড়িতে ধান নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে মোরগ ও মুরগীকে খাওয়ায়। অনেকে বন্ধু-বান্ধব অথবা পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের সঙ্গে দেখা করে। এই দিন ত্রিপুরায় ব্যাপকভাবে পিঠার আয়োজন হয়।
সাংগ্রাই উৎসব
মারমারা বাংলা বছরের শেষ দু’দিন ও নববর্ষের প্রথম দিন পালন করে সাংগ্রাই উৎসব। এদিন পিঠা, পাচনসহ নানাবিধ খাবারের আয়োজন করে তাঁরা। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন মারমারা পালন করে পাঃংছোয়াই বা ফুল ছেঁড়ার দিন হিসেবে। পাঃংছোয়াই’য়ের রাতে পাহাড় থেকে ফুলগুলো ছিঁড়ে এনে বাড়িগুলো সাজানো হয়। তবে সাদা ফুলগুলো তোলেনা মারমারা, আলাদা করে রেখে দেয়। সংক্রান্তির দিন ফুল ছেঁড়ার উৎসবকে বলা হয় সাংগ্রাই পাঃং বা সাদা ফুল তোলার উৎসব। এই ফুল ছেঁড়া কেন্দ্র করে নানা লোককথা প্রচলিত আছে। আর নববর্ষের প্রথম দিন মারমা ছেলে-মেয়েরা আয়োজন করে জলকেলি উৎসব।

লেখক : বিশ্বজিৎ দত্ত, গণমাধ্যমকর্মী

Scroll to Top