ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বায়ান্ন বাজার

আজ দু’জন বিদেশীর কথা বলবো যারা প্রেমে পড়েছিলেন এই বাংলার ঐতিহ্যের, বাংলার নি:সর্গের।

প্রথমেই ভারতীয় সিভিলিয়ান ও চিত্র শিল্পী, ইপসুইচের পার্লামেন্ট সদস্য স্যার চার্লস ড’য়লীর কথা।

তাঁর নামটা অপরিচিত ঠেকলেও আমি নিশ্চিত, তাঁর আঁকা ছবি গুলো আপনারা অনেক অনেক বার দেখেছেন। এমন কি ফ্যাশান হাউস “নিত্য উপহারের” টি-শার্ট, মগেও রয়েছেন ড’য়লী।

স্যার চার্লস ড’য়লী ১৮০৮ সালে ঢাকার কালেক্টর হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, বাংলাদেশে তিনি ছিলনে ১৮১৮ সাল পর্যন্ত।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ১৭৭২ সালে বাংলার দেওয়ানী লাভ করার পর থেকে সাধারণ প্রশাসন ও ভুমি প্রশাসনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছিল, এরই এক পর্যায়ে তৈরি হয় কালেক্টের পদটি।

যাক সে কথা, ১৮০৮ সালে ড’য়লী যখন ঢাকায় এলেন, তখন এক সময়ের জমজমাট ঢাকা দূর্দশা আর ধ্বংসের চুড়ান্তে উপনীত হয়েছিল।

সুবা বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়েছিল ১৬১০ সালে এবং মুর্শিদকুলী খাঁয়ের সময়ে আবার সেই কেন্দ্রীয় শাসনটাকে ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে দেওয়ানী স্থানন্তর করা হয়!

মুলত: এরপর থেকেই ঢাকার পতন শুরু হতে থাকে। খ্রী: ১৭১৫/১৬ সালের দিকে ঢাকা পরিণত হয় একটা উপ-প্রদেশে!

১৮২৮ সালের মধ্যে তথাকথিত Pax Britannica এর কারণে ঢাকা ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয় প্রায় মৃত এক শহরে, বেঁচে থাকে কেবল অর্ধমৃত একটা জেলা সদর!

মূলত: রাজনৈতিক, সামরিক ও প্রশাসনিক সকল কাজের কেন্দ্র হিসাবে কোলকাতার উথ্থান আর ঢাকার পতন একই সুত্রে গাঁথা।

Scroll to Top